ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নোয়াখালীতে ৩২৮ ইয়াতিমের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ 

নোয়াখালীতে ৩২৮ ইয়াতিমের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ 

কেউ হারিয়েছেন বাবা, কেউবা মা, আবার কেউ বাবা-মা দুইজনকেই হারিয়েছেন। নোয়াখালীর ৯ উপজেলার এমন ৩২৮ জন ইয়াতিম শিশুর ঘরে ঘরে গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন শিখা সংসদ।

সম্প্রতি ৬ দিনব্যাপী এসব খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এর আগে বেগমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের প্রাঙ্গণে খাদ্য সহায়তা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইয়াসির আরাফাত।

জানা যায়, শিখা সংসদের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সবুজ স্বেচ্ছাসেবী মো. রাসেল, মো. সোহাগ, সিফাত হোসেন, মো. শামিম, মো. শান্ত ও মো. ইকবাল জেলার ৯ উপজেলার ইয়াতিমদের তালিকা করে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন। এসব খাদ্য সহায়তার মধ্যে ছিল চাল ১০ কেজি, আলু ৫ কেজি, পেয়াজ ৩ কেজি, তেল ১ কেজি, ডাল ১ কেজিসহ অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী।

আরও জানা যায়, "সুন্দর সমাজ গঠনে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ" এই শ্লোগান সামনে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন শিখা সংসদ। ভিন্ন কিছু করতেই তারা ইয়াতিমদের তালিকা করে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার কার্যক্রম হাতে নেন। ৩২৮ জনের বাড়িতে খাবার পৌঁছে দিতে মোট খরচ হয়েছে ২ লাখ ৬০ হাজার ৫৮০ টাকা। যার পুরোটা অর্থায়ন করেন সমাজের বিত্তবানরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেগমগঞ্জ উপজেলার এক উপকারভোগী বলেন, বাবা মারা যাওয়ার পর কাউকে পাশে পাইনি। সবাই কেবল আশ্বাসই দিয়েছেন। আমার মা মানুষের বাড়িতে কাজ করে আমাদের মুখে আহার তুলে দেন। এমন সহায়তা আমাদের উপকারে আসবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার আরেক উপকারভোগী বলেন, বাবা-মা হারানোর পর থেকে বোনের বাড়িতে থাকি। এখানে থেকে আমি পড়াশোনা করছি। আমাকে যারা সাহায্য দিয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।

তোফায়েল আহমেদ নামের এক বৃদ্ধ বলেন, আমার ছেলে মারা যাওয়ার পর থেকে নাতি এবং ছেলের বউ আমার কাছে থাকে। এ ছেলেরা শিখা সংসদ বিভিন্ন সময় আমাকে সহযোগিতা করেছে। এবার খাদ্য সামগ্রী দিয়েছে। তাদের জন্য মন থেকে দোয়া করি।

শিখা সংসদের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সবুজ বলেন, শিখা সংসদ সামাজিক উন্নয়নমূলক সংগঠন। এই সংগঠন এর মূল উদ্দেশ্য অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো। এই সমাজে ইয়াতিম শিশুদের পরিবার গুলো অবহেলিত। তাই আমরা এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। বিত্তবানদের সহায়তায় এমন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইয়াসির আরাফাত বলেন, প্রকৃত অসহায় যারা তাদের বেশি সহায়তা প্রয়োজন। ইয়াতিমদের মাঝে এমন কার্যক্রম নি:সন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। বিত্তবানদের উচিত সব সময় অসহায়দের খবর রাখা এবং সামর্থ্য অনুযায়ী সহযোগিতা করা। এ সহায়তা আমাদের সুন্দর সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখবে।

ইয়াতিম শিশু,খাদ্য সামগ্রী,বিতরণ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত